নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার সম্ভাবনাময় ফল হল লটকন। দেশে এবং বিদেশে এই ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে। লটকন বিদেশে রপ্তানি করে বেলাব উপজেলার মানুষ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। লটকন নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার একটি উল্লেখযোগ্য ফল। এটি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
লটকন সম্পর্কে কিছু তথ্য:
লটকন (বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea motleyana) এক প্রকার টক মিষ্টি ফল। লটকন নানা নামে পরিচিত, যেমন- Rambai, Rambi, Mafai-farang, Lamkhae, Ra mai ইত্যাদি। গাছটি দক্ষিণ এশিয়ায় বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বানিজ্যিক চাষ হয়। লটকন বৃক্ষ ৯-১২ মিটার লম্বা হয়, এর কান্ড বেটে এবং উপরাংশ ঝোপালো। পুং এবং স্ত্রী গাছ আলাদা; যাতে আলাদা ধরণের হলুদ ফুল হয়, উভয় রকম ফুলই সুগন্ধি। ফলের আকার দুই থেকে পাঁচ সেমি হয়, যা থোকায় থোকায় ধরে। ফলের রঙ হলুদ। ফলে ২-৫ টি বীজ হয়, বীজের গায়ে লাগানো রসালো ভক্ষ্য অংশ থাকে, যা জাতভেদে টক বা টকমিষ্টি স্বাদের। এই ফল সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করা হয়। এর ছাল থেকে রঙ তৈরি করা হয় যা রেশম সুতা রাঙাতে ব্যবহৃত হয়। এর কাঠ নিম্নমানের। ছায়াযুক্ত স্থানেই এটি ভাল জন্মে।
লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে; যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি।
বাংলাদেশে একসময় অপ্রচলিত ফলের তালিকায় ছিল লটকন। অধুনা এর বানিজ্যিক উৎপাদন ব্যাপক আকারে হচ্ছে। উন্নত জাতের সুমিষ্ট লটকনের চাষ বৃদ্ধির সাথে সাথে এর জনপ্রিয়তাও বেশ বেড়েছে। এদেশের নরসিংদীতেই লটকনের ফলন বেশি। এ ছাড়া সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাজীপুর—এসব জেলায়ও ইদানীং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লটকনের চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে লটকন বিদেশেও রফতানি করা হয়।লটকনে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় সহায়তা করে।
নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার সম্ভাবনাময় ফল হল লটকন। দেশে এবং বিদেশে এই ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে। লটকন বিদেশে রপ্তানি করে বেলাব উপজেলার মানুষ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। লটকন নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার একটি উল্লেখযোগ্য ফল। এটি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
(তথ্য সূত্র: উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে)
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস